কোটি পতি হতে কে না চায় কিন্তু লক্ষ পতি হতে গেলে যা করণীয় সেই কাজ কয় জন করে। আপনিও যদি চান আপনার কাছে থাকা টাকার পরিমান বাড়ুক লাখ পতি আপনিও হতে চান তাহলে অবশই আপনাকে আজকের প্রতিবেদন টি সম্পূর্ণ পড়ুন এবং জানুন কি উপায় চললে খুব কম পরিশ্রমে সঠিক ভাবে টাকা বিনিয়োগ করে আপনি লাখপতি হয়ে উঠবেন
দৈনিক ২০ টাকা বিনিয়োগ করা আজকাল কার দিনে কোনো বেক্তির কাছেই অসম্ভব নয়। আপনাদের অনেকেই প্রতিদিন ২০ টাকা দিনে দুবার চা বা বিড়ি খেয়ে নষ্ট করেন যা অবশই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। আজকের প্রতিবেদনে জেনে নিন কিভাবে এই টাকা চা বা বিড়ির পিছনে না উড়িয়ে সঠিক জায়গায বিনিয়োগ করলে স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে ভবিষ্যৎ ও সুরক্ষিত হবে।
বিনিয়োগের কথা উঠলে যে জিনিস তার কথা সবার প্রথমে মাথায় আসে তা হলো মিউচুয়াল ফান্ড এর কথা সবচাইতে আগে মাথায় আসে। বর্তমান সময় দাড়িয়ে অনেকেই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। এই মিউচুয়াল ফান্ডের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের রিটার্ন অবশই ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসার চাইতে অনেক গুন্ বেশি ভালো। আপনি যদি এই মিউচুয়াল ফান্ডে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট সিস্টেমের মারফত দিনে ২০ টাকা বিনিযোগ করেন তাহলে দীর্ঘ্য মেয়াদি সময়ের জন্য ভালো এমাউন্ট পাবেন। আপনি মাসিক ২০ টাকা মানে মাসে ৬০০ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। আপনি যদি sip এর মারফত মাসিক ৫০০ টাকা জমা করেন সেক্ষেত্রে ২০ শতাংশ হরে রিটার্ন পাবেন। তবে বেশির ভাগ ফান্ড গুলোই গড়ে ১২ থেকে ১৪ শতাংশ হারে রিটার্ন দেয়।
এবার প্রশ্ন হলো এক বেক্তি দৈনিক ২০ টাকা জমিয়ে কোটি টাকার মালিক হতে পারে ? চলুন বিষয় টা একটু বুঝিয়ে বলা যাক
কোনো ২০ বছর বয়সী যুবক বা যুবতী দৈনিক ২০ টাকা করে জমালে মাসে ৬০০ টাকা জমে সেই টাকা দিয়ে sip করলে সে ৩৫ বছর ধরে বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে ১৫.৫ শতাংশ হারে রিটার্ন পেলে ১ কোটি টাকা রিটার্ন পাবে।
আবার ধরা যাক কোনো বেক্তি দৈনিক ২০ টাকা করে ৪০ বছর সঞ্চয় করলে ১০ কোটি টাকার মালিক হতে পারেন। ধরুন কোনো যুবক বা যুবতী ২০ বছর বয়স থেকে প্রতিদিন ২০ টাকা SIP তে বিনিয়োগ করে তাহলে ৪০ বছর পর আপনার বিনিয়োগের পরিমান দাঁড়াবে ২ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা। এই বিনিয়োগের উওপর ১৫ শতাংশ হারে সুদ পেলে ১.৮৮ কোটি টাকা পাওযা যাবে এবং যদি কপাল ভালো হয় তাহলে যদি ২০ শতাংশ করে পাওয়া যায় তাহলে মেয়াদ শেষে ১০.২১ কোটি টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে। আসলে SIP তে চক্রবৃদ্ধি হারে রিটার্ন পাওয়া যায়। যে কারণে কম পুঁজিতে বিনিয়োগ করলেও দীর্ঘ্য মেয়াদের জন্য,বড় পরিমানে রিটার্ন পাওয়া যায়