মিউচুয়াল ফান্ডের বিষয় আজ কাল সকলেই মোটামোটি জানা হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেকেই জানেন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার একটাই উদ্দেশ্য দীর্ঘ্য মা কম মেয়াদি বিনিয়োগ করে উচ্চ ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের বা পোস্ট অফিসের চাইতে বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। কিন্তু এটাও ঠিক যে মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ ঝুঁকি পূর্ণ। তবে আপনি যদি জেনে বুঝে তবেই বিনিয়োগ করে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনি অবশই লাভবান হবেন। মিউচুয়াল ফান্ডের বেশ কিছু ফান্ড আছে যে দীর্ঘ্য মেয়াদের জন্য কম ঝুঁকি পূর্ণ। এবং এতে লাভ বন্ হওয়া যায়। আজ আমরা আলোচনা করবো মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতির বেপারে এবং দুটোর পার্থ্যক সম্পর্কে।
মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগের ক্ষেতের সাধারণত দুটো পদ্ধতি প্রদান করে থাকে প্রথম টি হলো সরাসরি ফান্ড। দ্বিতীয় টি হলো রেগুলার ফান্ড
আসুন জেনে নেওয়া যাক এই দুটো ফান্ডের ব্যাপারে বিস্তারিত।
সরাসরি ফান্ড
- এক্ষেত্রে বিনিয়োগ কারীকে সরাসরি AMC (এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ) মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে হয়
- কোনো রকম মধ্যস্থতাকারী থাকে না
- দীর্ঘ্য মেয়াদের ক্ষেত্রে এই ফান্ডের ব্যয়ে কোমর কারণে রিটার্ন ও বেশি হতে পারে।
- যেহেতু এখানে কোনো মধ্যস্ততাকারী থাকে না সেই জন্য এখানে বিনিয়োগের খরচ ও তুলনামূলক ভাবে অনেক কম।
নিয়মিত পরিকল্পনা
- বিনিয়োগকারী কে একজন ব্রোকার বা ডিস্ট্রিবিউটার এর মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে হয়।
- এক্ষেত্রে ডিস্ট্রিবিউটার কে এই এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি একটি ফী প্রদান করে থাকে ,যা অবশই বিনিয়োগকারীর খরচের মধ্যে ধরা হবে।
- আর ফলস্বরূপ সরাসরি পরিকল্পনার চাইতে রেগুলার ফান্ডের খরচ কম বেশি হয় এবং দীর্ঘ্য মেয়াদের জন্য এর রিটার্ন খুব বেশি হয় না।
জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা
- যদি বিনিয়োগকারী নিজে বাজার সম্পর্কে সবসময় সচেতন থাকেন। অর্থাৎ বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে সচেতন থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার সরাসরি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভালো রিটার্ন পেতে পারেন এবং যেহেতু এক্ষেত্রে বন্টনের ফী বাঁচানো যায় তাই খরচ ও কিছুটা সাশ্রয় হয়ে থাকে
- তবে বিনিয়োগকারীর বাজার সম্পর্কওয়ে জ্ঞান কম থাকে সে ক্ষেত্রে তিনি ব্রোকার বা ডিস্ট্রিবিউটিউটারের পরামর্শে বিনিয়োগ করতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে তিনি সরাসরি ফান্ডের চাইতে রেগুলার বা নিয়মিত ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন এবং দীর্ঘ্য মেয়াদের জন্য লাভবান হতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার খরচ সরাসরি ফান্ডের চাইতে অবশই কিছুটা বেশি।
নিজে বিনিয়োগ পরিচালনা করার সদিচ্ছা
- যারা নিজেরা বিনিয়োগ করতে সচন্দ্য বড় করে বা ভালোবাসেন বা যারা চায় তাদের বিনিয়োগের ব্যাপারে তাদের অন্য কোনো কারোর পরামর্শ পছন্দ করেনা না তাদের জন্য সরাসরি বিনিয়োগ যথার্থ এবং সেখান থেকে তারা যথেষ্ট রিটার্ন পেতে পারেন।
- তবে যারা প্রচেষ্টা এবং সময় দুটোই বাঁচিয়ে বিনিয়োগ করার কথা ভাবছেন তেনারা একজন পেশাদার পরামর্শদাতার সাহায্য নিতেই পারেন এবং সে ক্ষেত্রে হয়তো আপনার রেগুলার ফান্ডে বিনিয়োগ করা ভালো বলে আমার মনে হয়।
সরাসরি বিনিয়োগের একটি সুবিধা হলো কমখরচার অনুপাত
কম খরচের অনুপাত:যেহেতু সরাসরি বিনিয়োগের ক্ষেতের অন্য কোনো কারোর সাহায্য লাগে না তাই এক্ষেত্রে খরচের অনুপাত টাও যথেষ্ট ভাবে কম থাকে। কারণ এই ক্ষেত্রে কমিশনের খরচও বিনিয়োগকারির একাউন্ট থেকে নেওয়া হয়ে থাকে
বেশি খরচের অনুপাত:যদি কেউ নিজে বিনিয়োগে অভস্ত্য না হয়ে গিয়ে থাকে সেক্ষেতের ব্রোকার এর মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারে নির্ঝঞ্জাট ছাড়া এবং সেই ক্ষেতের আপনাকে অল্প মাত্রায় কমিশন চার্জ দিতে হয় যেটা আপনার একাউন্ট থেকে কাটা হবে। তবে এক্ষেতের দীর্ঘ্য মেয়াদের জন্য সরাসরি বিনিয়োগের চাইতে রেগুলার ফান্ডে বিনিয়োগ করা অনেক বেশি লাভবান হবে বলে মনে হয়।