ETF: বর্তমানে কম বেশি অনেক মানুষই চায় আর্থিক বাজারে বিনিয়োগ করতে চায়। কিন্তু এতে ঝুঁকির পরিমান থাকায় অনেকেই সাহস দেখায় না। কিন্তু এই এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড এ মিউচুয়াল ফান্ড এবং স্টক গুলো কে এমন ভাবে উপযোগী করে তুলেছে যাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করা হয়। আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ বা অনভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী হয়ে থাকেন তাহলেও আপনার ক্ষেত্রে এটি একটি স্মার্ট উপায় বিনিয়োগ সম্পর্কে সঠিক চিন্তা করার। আজকের প্রতিবেদনে আমরা জানাবো এই এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড কি এর সুবিধা কি অসুবিধা কি ?
ETF (এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড ) কি ?
বর্তমানে যে সমস্ত উপকরগুলো আর্থিক বাজারে চলছে তাদের একত্রে ঝুড়ি বুলা যেতে পারে। এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড আসলে স্টক ,বন্ড বা পণ্য এর মতো বিভিন্ন উপকরণে ভরা একটি খালি হিসাবে কল্পনা করতে পারেন। আপনি যখন একটি এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড এর শেয়ার কিনবেন সেক্ষেত্রে তখন আপনি বিশেষত ওই ঝুড়ির একটি স্লাইড কিনলেন। এই এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড একটি ফান্ড হাউস দ্বারা পরিচালিত হয়। যারা আপনাকে একটি শেয়ার ইস্যু করবে। এই সেটআপ টি আপনাকে পৃথক ভাবে কোনো শেয়ার কেনার জামেলা থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড আপনাকে একটি বিস্তৃত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে দেয়
আরো দেখুন >>>বেশি বয়সে SIP শুরু করাও কিভাবে লাখ পতি হওয়া যায় ,জানুন বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে
এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড এর কাজ করে কি ?
বেশির ভাগ মানুষই আছে যারা স্টকে সরাসরি বিনিয়োগ করতে চায় না। তাদের জন্য এটি একটি বিকল্প হতে পারে। তবে মিউচুয়াল ফান্ডের ছিটে এটি একটু আলাদা। তাই অনেক মানুষই এখন এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড এ তে বিনিয়োগ করে থাকেন। এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড ষ্টোকে খুব সহজেই কেনা বেচা করা যায়। তাছাড়া এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড এর মূল্য প্রতি সেকেন্ডে বারা কমা করে। যেখানে বাজার বন্ধ হবার পর মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট বা দাম দেখা যায়।
এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের কিছু প্রকার ভেদ আছে
এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের প্রকার | বিবরণ |
---|---|
ফিক্সড ইনকাম ETF | এটি নির্দিষ্ট সূচকগুলিকে ট্র্যাক করে, যা বিস্তৃত বাজারের এক্সপোজার অফার করে। |
ফিক্সড ইনকাম ইটিএফ | বন্ড এবং অন্যান্য ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করুন, স্থির আয় প্রদান করুন। |
সেক্টর এবং ইন্ডাস্ট্রি ETFs | প্রযুক্তি বা শিল্পের মতো নির্দিষ্ট সেক্টরগুলিতে ফোকাস করুন যেমন স্বাস্থ্যসেবা, লক্ষ্যযুক্ত বিনিয়োগের অনুমতি দেয়। |
পণ্য ETFs | সোনা, তেল বা কৃষি পণ্যের মতো পণ্যের দাম ট্র্যাক করুন। |
স্টাইল এবং আকার ETFs | নির্দিষ্ট বিনিয়োগ শৈলী (যেমন বৃদ্ধি বা মান) বা বাজার মূলধনের আকার (লার্জ-ক্যাপ, মিড-ক্যাপ, ছোট-ক্যাপ) মিরর করুন। |
বিপরীত এবং লিভারেজড ETFs | এগুলি আরও জটিল এবং বাজারের পতন থেকে মুনাফা বা রিটার্ন বাড়ানোর জন্য লিভারেজ ব্যবহার করার লক্ষ্যে। |
আরো দেখুন >>>SBI গ্রাহকরা অবশ্যই এই ৪ টি স্পেশাল স্কিমগুলি সম্পর্কে জেনে রাখুন, এতেই ধনী হতে পারবেন
এখন জানার বিষয় ETF এ বিনিয়োগে সুবিধা গুলি কি কি ?
- যৎসামান্য খরচ :সাধারণ মিউচুয়াল ফান্ডের তুলনায় ETF এর ফী সাধারণত কম। যার কারণে এতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হতে পারে।
- বৈচিত্র : এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড কে সিকুইরিটি র ঝুড়ি বলার কারণে এতে অনেক রকম বৈচিত্র দেখা যায়। ETF পৃথক স্টক এর চাইতে অনেক বেশি কার্যকর এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ।
- পরিচ্ছন্নতা :-বেশিরভাগ এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড তাদের হোল্ডিং প্রকাশ করে প্রতিদিন। যাতে বিনিয়োগকারী তাদের অর্থ কোথায় বিনিয়োগ করেছে তা সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পেতে পারে।
- কর দক্ষতা : মিউচুয়াল ফান্ডের তুলনায় ETF গুলি কম মূলধন লাভ বন্টন তৈরি করে। যা বিনিয়োগকারী দের কর দক্ষ করে তোলে।
এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড কিভাবে কেনা বেচা করবেন ?
এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড এ কেনা বেচা করা ষ্টোকে কেনা বেচা করার মতোই সোজা। এর জন্য আপনাকে প্রথমে ব্রোকারেজ একাউন্ট খুলতে হবে। তারপর স্টক কেনার মতোই আপনাকে ETF দেখে শুনে কিনতে হবে। এবং পরবর্তীতে আপনাকে যেমন স্টক বেচা বা কেনার জন্য ব্রোকারেজ ফী দিতে হয়।
দাবিত্যাগ :-একটি কথা ভালো করে জেনে রাখা ভালো আমরা কোনো সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI ) নির্ধারিত আর্থিক উপদেষ্টা নই।
এই প্রতিবেদনটি শুধু মাত্র শিক্ষামূলক উদ্দ্যেশে তৈরি করা হয়েছে। আমরা কোনো ভাবে বিনিয়োগ করার পরামর্শ প্রদান করি না। আপনার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত আপনার নিজের এবং ঝুঁকি সহনশীলতার উপর নির্ভর করে নিতে হবে। কারণ মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ বাজার গত ঝুঁকি সাপেক্ষ