আপনাদের হয়তো কম বেশি সকলেরই ধারণা আছে মিউচুয়াল ফান্ডের কম বেশি অনেক প্রকারভেদ আছে। কিন্তু তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো মাল্টি ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড। বর্তমানে যত দিন যাচ্ছে মানুষের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের মতোই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ কারীর সংখ্যা বেড়াই চলছে। তবে এখনো শেয়ার বাজারে বিনিনিয়োগের তুলনায় মিউচুয়াল ফান্ড কেই অনেকে বেঁচে নেয়। কারণ এই ক্ষেত্রে ঝুঁকির পরিমান তা একটু কম থাকে। তবে ২০২০ সালের আগে অবধি এই মাল্টি ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড সম্পর্কে ধারণা আলাদা ছিল।মিউচুয়াল ফান্ড অথরিটি গুলো যে কোনো ধরণের কোম্পানিতে যেমন লার্জ ক্যাপ ,মিডিকাপ ,স্মল ক্যাপ সব জায়গায়তেই ইনভেস্টমেন্ট করতে পারতো সেহেতু তারা দাবি করে যে এটি মূলত ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড। তারপর ভারতীয় রেগুলেটরি বোর্ড SEBI লক্ষ্য করে মূল বিনিয়োগের টাকার ৮০ শতাংশ এর বেশি তারা লার্জ ক্যাপ এ বিনিয়োগ করে এবং স্মল ক্যাপ এবং মিড্ কেপ বিনিয়োগের পরিমান কম। এই জন্যই SEBI মনে করে এই গুলো আদতে লার্জ ক্যাপ ফান্ড কিন্তু বাজারে মূলত ক্যাপ ফান্ড হিসাবে ছড়িয়ে আছে।
আজকের এই নিবন্ধ তে SEBI আর নতুন নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও এই ফান্ডের বিনিয়োগ করার সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেহেতু আজকের প্রতিবেদন টি খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই অবশই মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সাধারণত বলা হয় মূলত ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড বলতে সেই সমস্ত ফান্ড কে বলা হয় যারা বিনিয়োগের ২৫ শতাংশ লার্জ ক্যাপ ২৫ শতাংশ স্মল ক্যাপ এবং ২৫ শতাংশ মিড্ ক্যাপ এ বিনিয়োগ করে থাকে।
মিউচুয়াল ফান্ড | বিবরণী |
---|---|
লার্জ ক্যাপ কোম্পানি | মার্কেট ক্যাপিটিলাইজেশন অনুজায়ী যে সমস্ত কোম্পানি গুলো ১ থেকে ১০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে। |
মিড্ ক্যাপ কোম্পানি | মার্কেট ক্যাপিটিলিজেশন অনুযায়ী যে সমস্ত কোম্পানি গুলো ১০১ থেকে ২৫০ তম এর মধ্যে অবস্থান করছে। |
স্মল ক্যাপ কোম্পানি | মার্কেট ক্যাপিটিলিজেশন অনুযায়ী যে সমস্ত কোম্পানি গুলো ২৫১ তম স্থানের পরে রয়েছে। |
মূলত ক্যাপ কোম্পানিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ বিনিয়োগ প্রত্যেক কোম্পানিতে করতে হবে। যার মধ্যে ৭৫ শতাংশ ফিক্সড এবং বাকি ২৫ শতাংশ তাদের ইচ্ছামতো জায়গায়। বিনিয়োগ করতে পারে।
এখন জেনে নেওয়া যাক মাল্টি ক্যাপ কোম্পানিতে বিনিয়োগের সুবিধা ও অসুবিধা।
প্রথমে আসি সুবিধা :
আপনি যদি এখন নির্দিষ্ট ভাবে কোনো স্মল ক্যাপ বা লার্জ ক্যাপ বা মিড্ ক্যাপ এ বিনিয়োগ করেন। সেক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিত নন যে আপনার অ্যাসেট ডিস্ট্রিবিউশন আছে সেটি ঠিক কিনা। কিন্তু যদি মূলত ক্যাপ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে তাহলে সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকৃত অর্থ বিভিন্নপ সেক্টরে ছড়িয়ে পড়বে।
দ্বিতীয়ত আসি অসুবিধার কথায়
অনেক সময় দেখা গেছে মিড্ ক্যাপ ভালো পারফরম্যান্স করছে কিন্তু স্মল ক্যাপ বা লার্জ ক্যাপ সেই অনুপাতে পারফরমেন্স দিচ্ছে না। সেক্ষেত্রে তখন আপনি ভালো রিটার্ন এর আশায় ৮০ শতাংশ মিড্ ক্যাপ এ বিনিয়োগ করতে চিচেন তখ কিন্তু তা আর সম্ভব হবে না সেক্ষেত্রে কিছু বিধি নিষেধের বেড়া জালে আটকে যাবেন।
এখন প্রশ্ন হলো মাল্টি ক্যাপ ফান্ডে কি বিনিয়োগ করতে উচিত ?
আপনি চাইলে অবশই আপনার বিনিয়োগের কিছু অংশ মাল্টি ক্যাপ এ করতে পারেন সেক্ষত্রে শুধু মাত্র এভারেজ এর থেকে বেশি রিটার্ন আসা করবেন না। আপনি চাইলে আপনার পোর্টফোলিয়ের ১০শতাংশ মূলত ক্যাপ ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন কিন্তু এখানে অবশই পোর্টফোলিয়োর ১০ শতাংশ কথা বলা হয়েছে মোটেই সমস্ত বিনিতোগের কথা বলা হয়নি।
দাবিত্যাগ :-একটি কথা ভালো করে জেনে রাখা ভালো আমরা কোনো সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI ) নির্ধারিত আর্থিক উপদেষ্টা নই।
এই প্রতিবেদনটি শুধু মাত্র শিক্ষামূলক উদ্দ্যেশে তৈরি করা হয়েছে। আমরা কোনো ভাবে বিনিয়োগ করার পরামর্শ প্রদান করি না। আপনার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত আপনার নিজের এবং ঝুঁকি সহনশীলতার উপর নির্ভর করে নিতে হবে। কারণ মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ বাজার গত ঝুঁকি সাপেক্ষ